চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
আমাদের এই দৈনন্দিন জীবনে চুলকানি একটি সাধারণ বিষয় এটি প্রায়ই দেখা যায়
বিরক্তি কর বিষয় মাঝেমধ্যে এটি অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে ঘুম মানসিক চাপ হয়
চুলকানি নানা কারণেই হয়ে থাকে যেমন ধরেন ত্বকে জীবাণু
সংক্রমণ,এলার্জি,ঘাম,ধুলাবালি,ফাঙ্গাস এইসব কারণে হয়ে থাকে আর এর প্রাকৃতিক
ভাবে সমাধান হইতে পারে নিমপাতা এটি খুবই উপকারিতা ও কার্যকর।
নিম এমন একটি গাছ যার পাতা ফল বা গাছের ছাল সবই প্রায়ই আমাদের উপকার করে আসে নিমপাতার এই ঔষধি ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে এটি এমন একটি গাছ যার প্রতিটি অংশই আমাদের ঔষধি ব্যবহার হয়ে থাকে বিশেষ করে ত্বকের চুলকানি ফোড়া ইনফেকশন ইত্যাদি এ সকল বিষয়ে নিম পাতার ব্যবহার আমরা করেই থাকি নিমপাতা প্রাকৃতিক ও নিরাপদ প্রতিকার হয়ে থাকে আজ আমরা জানবো চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও এর উপকারিতা সম্পর্কেও সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে।
এই বিষয়ে আমরা যা যা জানবোঃ
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার ঔষধি উপাদান
- চুলকানির কিছু কারণ সমূহ
- চুলকানিতে নিম পাতার উপকারিতা
- চুলকানিতে নিমপাতা ব্যবহারের বিভিন্ন উপায়
- নিম পাতা ব্যবহারের কিছু সতর্কতা
- আধুনিক চিকিৎসায় নিম পাতার কিছু ভূমিকা
- চুলকানি প্রতিরোধের আরো কিছু উপায়
- এ বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু
নিম পাতার ঔষধি উপাদানঃ
নিম পাতার বৈজ্ঞানিক নাম আযাদীরাক্তা ইন্ডিকা। এটি আমাদের প্রায়ই সব জায়গাতেই
জন্ম হয় এ গাছ যেখানে সেখানেই জন্ম নিতে পারে নিম পাতার যে সকল উপাদান
পাওয়া যায় তা সবগুলোই প্রাকৃতিক গুনে পরিপূর্ণ
নিম পাতার প্রধান উপাদান হলোঃ পাতা,ফল,গাছের ছাল ইত্যাদি।
চুলকানির কিছু কারণ সমূহঃ
চুলকানি কেন হয় তা আমাদের প্রথমত জানা উচিত ভাল মত কারণ চুলকানি অনেক ধরনের হয়ে থাকে।এলার্জি জাতীয় চুলকানি .ফাঙ্গাস চুলকানি,ঘাম থেকে চুলকানি,ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি, অপরিষ্কার বা ময়লা জমে চুলকানি ইত্যাদি।
চুলকানিতে নিমপাতার উপকারিতাঃ
নিম পাতার ব্যবহার শুধু আদিম যুগ থেকে হচ্ছে না এটি আধুনিক ভাবে ও বৈজ্ঞানিক
প্রমাণিত যে এটি আমাদের ত্বকের অনেক উপকারে আসে।নিমপাতা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া
জাতীয় জিনিস প্রতিরোধ করে। অনেক সময় আমাদের চুলকানির ফলে ত্বক লাল এবং ফুলে
যায় এতে নিমপাতা রস দিলে আস্তে আস্তে চুলকানি কমে এবং স্বস্তি পাওয়া যায়।
নিমপাতা রস দিলে চুলকানির জায়গায় আস্তে আস্তে শীতল হয়ে যায়। এবং আস্তে আস্তে
সেই জায়গার চুলকানি ভালো হয়ে যায়।
নিম পাতা ত্বকের জীবাণু গভীর থেকে পরিষ্কার করে এবং তাকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করে এছাড়াও ত্বকের এলার্জির সমস্যা দেখা গেলে নিম পাতা ব্যবহার করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এছাড়াও নিম পাতার রস খেলে আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে ত্বকের ভেতর থেকে সমস্যা দূর করে।
চুলকানিতে নিমপাতা ব্যবহারের বিভিন্ন উপায়ঃ
নিম পাতার পানিতে গোসল,নিম পাতার পেস্ট,নিমপাতা ও হলুদের মিশ্রণ,নিমপাতার তেল,নিম পাতা খাওয়া ইত্যাদি। আমরা নিম পাতা নিয়মের ব্যবহার করতে পারি নিমপাতা হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারি নিমপাতা বেটে শরীরে মেখে ব্যবহার করতে পারি নিম পাতা ও হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারি নিমপাতার সাথে তেল যুক্ত করে ব্যবহার করতে পারি আবার আমরা নিমপাতা রস করেও খেতে পারি।
নিম পাতা ব্যবহারে কিছু সতর্কতাঃ
যাদের ত্বক একটু বেশি লাজুক তারা নিম পাতা ব্যবহারের আগে একটু অল্প জায়গায় শরীরের যে কোন স্থানে নিমপাতাটি প্রথমে ব্যবহার করে দেখুন তারপর সেটি আপনার পুরো শরীরে ব্যবহার করুন আবার নিম পাতা বেশি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে না রাখাই ভালো আবার নিম পাতা গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে এনে সেটি না খাওয়া ব্যবহার করা এটি একটু মেনে চলা সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে সেটি ব্যবহার করা এই সকল জিনিসগুলো একটু মেনে চলা
আধুনিক চিকিৎসায় নিম পাতার কিছু ভূমিকাঃ
আজকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা ও দেখা গেছে নিম পাতা থেকে তৈরি বিভিন্ন
জীবাণু ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। তাই ত্বকের ব্যবহার করার জন্য অনেক ক্রিম
সাবান লোশন নিমপাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও নিমপাতা ত্বকের বিভিন্ন
রকমের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে নিমপাতা আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে
সহায়তা করে। এটি শুধু চুলকানি নয় আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও অনেক কাজে
আসে।
চুলকানি প্রতিরোধের আরও কিছু উপাযঃ
প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হালকা এবং করতে আরামদায়ক কাপড়চোপড় করা
অতিরিক্ত ঘাম হলে শুকনো কাপড়চোপড় ব্যবহার করা ত্বকের ব্যবহার করার জন্য সাবান
লোশন এগুলো একটু যাচাই বাছাই করে নেওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া এবং সবুজ
শাকসবজি খাওয়া এবং নিম পাতার কিছু নিয়ম ব্যবহার করা এতে করে সকল নিয়ম মানলে
চুলকানি সহজে হবে না এবং প্রতিরোধ করা যাবে।
এ বিষয়ে আরো কিছুঃ
চুলকানি আমাদের কাছে সাধারণ মনে হলেও এটা কিন্তু সাধারণ বিষয় নয় অনেক সময় এটি
বড় ধরনের চর্ম রোগের পরিণত হতে পারে তাই আমাদের উচিত কার্যকরী উপায় এবং এখনকার
সময়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ লোশন পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক উপাদানই সবচেয়ে বেশি সেরা
এবং কাজে দেয় তার মধ্যে একটি হল নিম পাতা। ত্বকের অনেক সমস্যা নিম পাতা দূর করতে
পারে চুলকানি থেকে শুরু করে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানো পর্যন্ত। এই নিম পাতা
আমাদেরত্বকের অনেক সমস্যা দূর করে থাকে তাই আমাদের মাঝে মধ্যেই নিম পাতার ব্যবহার
করতে হবে তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাব সহজেই।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url