গিরিবাজ কবুতর চেনার উপায়

 

বাংলাদেশ ভারতীয় উপমহাদেশে কবুতর পালনের শখ অনেক পুরনো। নানা জাতের কবুতরের মধ্যে গিরিবাজ কবুতর বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এরা শুধু সৌন্দর্যেই নয়, উড়ার কৌশল খেলার ধরনেও আলাদা। তবে সাধারণ কবুতরের সঙ্গে গিরিবাজকে গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। তাই আসুন জেনে নেই গিরিবাজ কবুতর চেনার কিছু সহজ উপায়


. শরীরের গঠন

গিরিবাজ কবুতরের শরীর সাধারণত মাঝারি আকারের হয়।

বুক একটু চওড়া এবং পেশিবহুল।

ঘাড় মোটা শক্তিশালী।

ডানা তুলনামূলক লম্বা, যা উড়ার সময় প্রচণ্ড গতি তৈরি করতে সাহায্য করে।


. চোখ ঠোঁট

চোখ সাধারণত উজ্জ্বল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন।

ঠোঁট ছোট হলেও মজবুত এবং সোজা।


. পালকের রঙ

গিরিবাজ কবুতরের পালকে নানা রঙ দেখা যায়সাদা, কালো, নীলচে বা মিশ্রিত। তবে এদের পালকে এক ধরনের চকচকে ভাব থাকে।

অনেক সময় গলার পালকে সবুজাভ বা বেগুনি ঝিলিক দেখা যায়।


. উড়ার ধরণ

এটি গিরিবাজ কবুতরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।

এরা উড়ার সময় হঠাৎ ডানা ঝাপটিয়ে উপরে উঠে আবার দ্রুত নিচে নেমে আসে।

মাঝ আকাশে খেলাধুলার মতো কসরত করে।

অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আকাশে উড়ে থাকতে পারে।


. স্বভাব

গিরিবাজ কবুতর সাহসী চঞ্চল প্রকৃতির।

অন্য কবুতরের তুলনায় বেশি সক্রিয়।

মালিকের প্রতি এরা অনুগত এবং প্রশিক্ষণ নিলে দ্রুত অভ্যস্ত হয়।


. পা  নখ

পা সাধারণত শক্তিশালী মজবুত।

লালচে বা কালচে রঙের হতে পারে।

নখ ধারালো, যাতে সহজে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

উপসংহার

গিরিবাজ কবুতর চেনার মূল সূত্র হলো এর উড়ার কৌশল, শরীরের গঠন স্বভাব। যদি আপনি নতুন কবুতর পালতে চান এবং গিরিবাজ নিতে চান, তবে কেনার সময় অভিজ্ঞ কবুতরপ্রেমীর সাহায্য নেয়া ভালো। এতে ভুল কম হবে এবং সত্যিকারের গিরিবাজ কবুতর সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url