5000 টাকায় কি ব্যাবসা করা যায়

বর্তমান সমাজে অনেকেই আলাদা কিছু করতে চান যেমন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম করতে চান। আবার কেউ চাকরি বাদে এই কাজকে পেশা হিসেবে করে নিতে চাই। কিন্তু বড় ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক মূলধনের প্রয়োজন যা সবার সাধ্যের বাইরে তাই অনেকেই ভাবেন যে-অল্প মূলধনের কি ব্যবসা করা সম্ভব?5000 টাকায় কি ব্যাবসা করা যায় এবং কিভাবে সেটা ধীরে ধীরে বড় করা যায়।

অল্প মূলধনেই ব্যবসার সুযোগ

 

অনেকেই মনে করেন ব্যবসা শুরু করতে লাখ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে যে সব সময় এমনি হবে তা না। ইচ্ছা,সঠিক পরিকল্পনা,পরিশ্রম আর ধৈর্য থাকলে অল্প টাকা তেও লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা গ্রামে কিংবা শহরের আশেপাশে থাকেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবসায় যেটা ৫ হাজার টাকা দিয়ে করা সম্ভব। তাই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে-৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায়?

১. খাবারের ব্যবসা 

খাবারের চাহিদা সব সময় থাকে। তবে আপনি যদি ভাল রান্নায় জানেন তাহলে ছোট পরিসরে আস্তে আস্তে রান্না করে তা বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন-পিঠা, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ঝাল মুড়ি,ফুচকা ও নানান ধরনের মিষ্টির আইটেম। এগুলো বানাতে বড় কোন খরচ লাগে না তাই বলা যায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ করলেই এই ব্যবসা শুরু সম্ভব।৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায় তার সহজ উত্তর হল খাবারের ব্যবসা। 

২. গৃহস্থলী পণ্য বিক্রি

গ্রাম বা শহরে অনেক গৃহস্থলী পণ্য যেমন- ঝাড়ু, মাটির হাড়ি, বাঁশ এর তৈরি আসবাব, মাটির তৈরি জিনিসপত্র ইত্যাদি ভালো চাহিদা রয়েছে। এসব পণ্য হাট বাজার থেকে অল্প দামে কিনে এনে তা অল্প লাভে বিক্রি করা যেতে পারে। এই কাজটিও পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে করা যেতে পারে যে-৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায়। 

৩. অনলাইন পণ্য বিক্রি

আজকাল অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করছে। যেমন-কসমেটিক্স,হাতের তৈরি গয়না,ঘরে তৈরি পোশাক ইত্যাদি। এইসব ক্ষেত্রে আমরা কিছু অল্প পণ্য কিনে অনলাইনে ছবি পোস্ট করে তা প্রচার করতে পারি । ৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায় অনলাইন পণ্য বিক্রি এটি হলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। 

৪. কৃষি পণ্য

যদি আপনার কাছে সামান্য কিছু পরিমাণ জমে থাকে তাহলে আপনি সবজি চাষ শুরু করতে পারেন। কিছু ধরনের শাকসবজি রয়েছে যা চাষ করতে বেশি খরচ হয় না। এছাড়াও বাসায় কিছু মুরগি হাঁস পালন করলেও ৫০০০ টাকার ভিতরেই করা সম্ভব। 

৫. বই বা খাতা কলম বিক্রি

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সব সময় খাতা,কলম পড়াশোনার আসবাবপত্র,বই,ইত্যাদি চাহিদা সবসময়ই রয়েছে। অল্প মূলধনে করা যায়, স্কুল কলেজের সামনে অল্প কিছু খাতা কলম বই বিক্রি করা যাইতে পারে তাহলে এতে অল্প খরচ হবে। আবারো প্রমাণিত হলো যে-৫ হাজার টাকা কি কি ব্যবসা করা যায় কথাটি।

৬. বিউটিশিয়ান এর কাজ

অনেকে এমন আছেন যারা কিছু কিছু রূপচর্চার কাজ পারে। যেমন-চুল বাধা,ফেসিয়াল,হাতে মেহেদী দেওয়া ইত্যাদি। এই কাজটি করার জন্য বেশি মূল্যায়নের প্রয়োজন নেই পাঁচ হাজার টাকায় এই ব্যবসা করা যায়। 

৭. ফাস্টফুট বিক্রি

ফাস্টফুড পছন্দ করে না বর্তমান সমাজে এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন তাই স্কুল কলেজে বা কিছু আড্ডা দেওয়া যায় এমন জায়গায় ডিম চপ,সিঙ্গারা,পরোটা এটার বিক্রি করলে বেশি ভালো লাভজনক হওয়া যেতে পারে তাই বলা যায় এই ব্যবসাটি ও প্রায় ৫ হাজার টাকাতে করা যেতে পারে। ৫০০০ টাকা দিয়ে কিভাবে করা যায় এটি একটি তার বড় ধরনের উদাহরণ।

৮. হস্তশিল্পী

যারা হাতের কাজে দক্ষ তারা হাতে তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করতে পারে।এই কাজটি করতে অল্প কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে যা ৫০০০ টাকার ভিতর করা যাইতে পারে।তাই কোন সন্দেহ নাই যে-৫০০০ টাকায় কিভাবে ব্যবসা করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে।

৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয়ে আরো যা যা জানতে পারব

৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয়েরমূল কথা হল

 অনেকেই মনেই এ প্রশ্নটি জাগবে যে-৫০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায়? কিন্তু উপরের প্রেক্ষিতে বোঝাই যাচ্ছে যে অল্প পরিষদেও লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব।তবে প্রথমেই বেশি লাভের আশা করা যাবে না।ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়াতে হবে এবং ধৈর্যশীল ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে তাই যারা যারা সফল ব্যবসায় হতে চান তারা এ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন কারণ স্বপ্ন পূরণের প্রথম পদক্ষেপ  হলো ছোট একটি সিদ্ধান্ত। সেটি হতেও পারে৫০০০ টাকা দিয়ে শুরু করা একটি ব্যবসা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url